Blog

সুশিক্ষিত জাতি, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন ও ধর্মীয় অনুশাসনই মানবাধিকার সমুন্নত রাখার মূল মন্ত্র

আজ ১০ ডিসেম্বর’২৩ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়: সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচার। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক (আইকিউএসি) প্রফেসর ড. মোঃ মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া প্রধান অতিথি ও ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের আলোচনার শুরুতে পরিচালক আইকিউসি প্রফেসর ড. মোঃ মোতাহার হোসেন বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকার আদায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস সামঞ্জস্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, সংবিধানে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মত কালো আইন সংযোজন, কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে চরমতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে দুষ্ট তারাই আজ মানবাধিকারকে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ অহিদুজ্জামান। আলোচনায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, মানবাধিকার বিষয়টি সাম্প্রতিক বিশ্বে অত্যন্ত আলোচিত ও সমালোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তুলনামূলক দরিদ্র এবং দুর্বল দেশগুলোর ব্যাপারে মানবাধিকার ইস্যুকে বাণিজ্যিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, যা মানবাধিকার চেতনার পরিপন্থী। তিনি আরো বলেন, সুশিক্ষিত জাতি, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে মানবাধিকারের কাঙ্খিত উন্নতি সম্ভব। বিশ্বে যারা মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার তারাই বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার সাম্প্রতিক বিশ্বে চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতির আলোকপাত করে বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিশু-নারী ও সাধারণ মানুষ হত্যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হলেও মায়ানমার, ফিলিস্তিন, ইউক্রেনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে মানবাধিকার পরিস্থিতি চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ উন্নত বিশ্বের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত জরুরী। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।