Blog

বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ১৭ মার্চ ২০২৪ রবিবার স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে প্রশাসন চত্বর থেকে ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। পরে বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. সত্য রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া প্রধান অতিথি ও ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা শেখ সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে খোকা নামে যে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, তিনিই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি টুঙ্গিীপাড়ার দুরন্ত খোকা থেকে কিশোর শেখ মুজিব হয়ে একজন অসাম্প্রদায়িক বিশ্বনেতায় পরিণত হওয়া এবং বাঙালী জাতির পিতার স্বীকৃতিসহ বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের উপর আলোকপাত করেন। গণমানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও গভীর দেশপ্রেমের কারণে শত জেল-জুলুম, নির্যাতন ও ক্ষমতার লোভ কোন কিছুই তাঁকে স্বাধীনতার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিবে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বাঙালী জাতির ক্রমবিকাশ ও ঐতিহাসিক অভ্যুদয়ের ইতিহাস বর্ণনা করেন। আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ অহিদুজ্জামান, ও রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার। জন্মদিন উপলক্ষে অন্যতম কর্মসূচি ছিলো: বঙ্গবন্ধু’র জীবনীর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের সকল কর্মসূচিতে বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ডিন, পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।