Blog

বশেমুরকৃবিতে শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

 

রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিটি স্তরে সুশাসন নিশ্চিত করে ২০৪১ সালে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার আহবান জানান- প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, ইউজিসি সদস্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার (২০২২-২০২৩) আওতাধীন শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, গুণীজন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত সদস্য, প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে। শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্ণীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে সমাজে সুশাসন নিশ্চিত করা এ কৌশলের প্রধান লক্ষ্য। সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রণীত কৌশলে শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ এবং কোন সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদন্ড, প্রথা ও নীতির প্রতি আনুগত্য হিসেবে সঙ্গায়িত করা হয়। প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীর দায়িত্ব জনগণকে উত্তম সেবা দান করে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। শুদ্ধাচারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শুদ্ধাচারী সমাজ; এর নাগরিকরা পরিবার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজও হবে দুর্নীতিমুক্ত-শুদ্ধাচারী। তিনি রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে প্রত্যেককে আত্মনিয়োগের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বজায় রেখে দুর্ণীতি দমন, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত উপস্থাপন করে তিনি আরো বলেন, এনআইএস, ই-গভণ্যান্স, সিটিজেন চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার, ইনোভেশন ও তথ্য অধিকারের সম্মিলিত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে। পরপর দু’বার এপিএ মূল্যায়নে শীর্ষস্থান অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুদ্ধাচার কর্মকৌশলের পরিকল্পনার বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারিকালে বিশ্ব স্থবিরতার মধ্যেও বশেমুরকৃবি তার একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষা ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। ফলশ্রুতিতে এপিএসহ গবেষণা মূল্যায়নে বশেমুরকৃবি ইতিমধ্যেই দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব অর্জন করেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্জন ও সাফল্যকে এগিয়ে নেয়ায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডীন, পরিচালকবৃন্দসহ সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।