Blog

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে “শহীদ শেখ রাসেল দিবস” উদযাপন

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৮তম শুভ জন্মদিন ও ‘শহীদ শেখ রাসেল দিবস’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনন্দ র‌্যালী, শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন, আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি আনন্দ র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। শ্রদ্ধার্ঘ শেষে এক আলোচনা সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ১৯৬৪ সালে আজকের দিনে জন্ম নেওয়া শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে ৫৮ বছরের একজন পরিপূর্ণ মানবিক মানুষ থাকতেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে ধানমন্ডি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু শেখ রাসেলকে পিতা-মাতা, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নির্মম-নিষ্ঠুর ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু’র সর্বশেষ উত্তরাধিকার শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হতে পারতেন বাঙালী জাতির মুক্তির দিশারী, আরেক অদম্য পথ নির্দেশক। আমি শহীদ শেখ রাসেলের আত্মার চির শান্তি কামনা করছি এবং ইতিহাসের জঘন্যতম নিষ্ঠুর এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, ডীনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনা এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।