Blog

জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল’ আজ ২২ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার বিকেল ৩.০০টায় বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ অহিদুজ্জামান। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ঘটনাবহুল জীবন ও সংগ্রামের উপর আলোকপাত করে বলেন, বাঙালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর এ মহৎ অর্জনে আপোষহীনভাবে আমৃত্যু সংগ্রাম করে সামনে থেকে বাঙালীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা তাঁর কাছে চির ঋণী। পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস আর ৭৫ এর আগস্টের ট্রাজেডি বাঙালী জাতিকে বহু বছর পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে না হারালে আমরা অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হতাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার সংগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ অহিদুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, রাজনীতির সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু’র নিরলস সংগ্রাম ও আপোষহীন নেতৃত্বের জন্যই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে এবং ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অদম্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাবে।
আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।