বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) ও চীনের শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পারস্পারিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) ও চীনের শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পারস্পারিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত ৩ জন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে বশেমুরকৃবি প্রতিনিধির এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জুন সকাল ১০:৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সফররত ৩ জন প্রতিনিধি হলেন শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঝউঅট) এর সিপিসি পাবলিকেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর প্রফেসর গুয়াংসং লি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলেজের ডিন প্রফেসর জুয়ানগুও জু এবং (ঝউঅট) এর ইন্টারন্যাশনাল কো—অপারেশন এবং এক্সচেঞ্জ অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রফেসর হাউয়ুন ঝাং। এ সহযোগিতা আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় প্রধানগণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাফল্যগাঁথার সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। উভয় প্রতিষ্ঠানই তাদের নিজ নিজ গৌরবময় অর্জনের জন্য উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ কতৃর্ক প্রশংসিত হন। ফলপ্রসূ আলোচনার এক পর্যায়ে ডিরেক্টর গুয়াংসং লি বশেমুরকৃবি’র ভাইস—চ্যান্সেলরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় লি বলেন, উভয় বিশ্ববিদ্যালয় কৃষিভিত্তিক হওয়ায় সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা সহজ হবে। বশেমুরকৃবির সাথে কাজ করতে পারলে শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আরো সমৃদ্ধ হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ ডিরেক্টর। বশেমুরকৃবিকে নতুন পার্টনার আখ্যা দিয়ে লি বলেন, আজকের এ সহযোগিতা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার এক উৎকৃষ্ট অঙ্গন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বক্তব্যে লি বশেমুরকৃবির সাফল্যমন্ডিত অর্জনের প্রশংসা করেন। ঐতিহাসিক এ সহযোগিতা আলোচনার নির্ধারিত বক্তব্যের শুরুতে বশেমুরকৃবির ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া উপস্থিত চীনা প্রতিনিধিদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বশেমুরকৃবি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম অনুসরণ করে পরিচালিত হওয়ায় শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিথযশা উপাচার্য গবেষণাধর্মী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ৮৭টি ফসলের জাত, ৫০০ এর অধিক বই, ২৭টি প্রকাশনা, ৩৪০টি পিএইচডি এবং ১৬টি প্রযুক্তির সাফল্যময় দিক তুলে ধরেন। ভাইস-চ্যান্সেলর কানাডার সাচকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ভবিষ্যতে চীনের শ্যাংডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ উপকৃত হবে। সামগ্রিক যোগাযোগ আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য চীনের অ্যাম্বাসেডরের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ খ্যাতনামা কৃষিবিদ। উল্লেখ্য, এ সহযোগিতা আলোচনা শেষে চীনা প্রতিনিধিবৃন্দ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কেন্দ্রীয় ল্যাবসহ বিবিধ অনুষদ ভ্রমণ করেন। ১৯০৬ এ প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৩০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীর এ চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পন্ন হওয়া এ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বশেমুরকৃবির শিক্ষা ও গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মাস্টারপ্ল্যান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ।