‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যে বশেমুরকৃবিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৩। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০তম শুভ জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ আজ। এবারের শেখ রাসেল দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ঢাকার ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নং রোডের বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারে কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক, ব্রিটিশ দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে প্রিয় কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখেন রাসেল। শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনন্দ র‌্যালী, শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। সকালে একটি আনন্দ র‌্যালী ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করা হয়। শ্রদ্ধার্ঘ শেষে পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শৈশব থেকেই দূরন্ত, প্রাণবন্ত শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি আদরের নয়নমনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু খুনি ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি দশ বছরের ছোট্ট শিশু রাসেল। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল রাজধানীর ইউনির্ভাসিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজ তিনি ৬০ বছরের একজন পরিপূর্ণ মানবিক মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মতই পাশে থেকে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দিতেন এবং দেশকে সোনার বাংলা রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যেতেন নিঃসন্দেহে। তিনি শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।