বশেমুরকৃবিতে ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস পালিত

 

ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস আজ। জাতীয় চার নেতার স্মরণে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়। এ উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় বীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও শহীদ এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান এর স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল Ñ শোক র‌্যালী, শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। সকালে একটি শোক র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলে স্থাপিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ এর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর জাতীয় বীর শহীদ চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা আর ৩ নভেম্বরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। জাতিকে নেতৃত্ব শুন্য করার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নীলনক্সায় অত্যন্ত পরিকল্পিত জঘন্যতম এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে জেল হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে এর নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে প্রকাশ করা একান্ত প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। নিরাপরাধ জাতীয় চার নেতা শহীদী মর্যাদায় আজ জাতির কাছে শ্রদ্ধার সাথে বরণীয়, আর চক্রান্তকারী বেঈমান খন্দকার মোস্তাকগংরা জাতির কাছে ততটাই ঘৃণীত ও ধিকৃত। জাতীয় চার নেতার স্মরণে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ।
বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।