নিজস্ব অর্থায়নে “স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ ও উদ্ভোধন” এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনন্দন


বিশ্বনন্দিত মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি কৃষি শিক্ষার প্রসার, কৃষি বিষয়ক গবেষণা ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং হস্তান্তরের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে বিশেষভাবে নিবেদিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ফসলের ৬৮টি জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত, দৃঢ় প্রত্যয়ের মাধ্যমে দেশবাসীর গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্ভোধন হওয়ায় গত ২৬/০৬/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বশেমুরকৃবি একাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৯তম সভায় এবং ২৮/০৬/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বশেমুরকৃবি সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় আপনার প্রতি অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্যগণ উল্লেখ করেন যে, বিশ্ব ব্যাংকের অযৌক্তিক ও দুরভিসন্ধিমুলক ঋণ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর আপনার অনন্য সাহসী সিদ্ধান্ত “ঋণ নয়, বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে”। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করার যে স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের মানুষকে দেখিয়ে আসছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগোল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বহু বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে, ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি পদ্মা সেতু শুভ উদ্ভোধন করায় দেশবাসী ও বিশ্বব্যাপী বাঙ্গালীদের সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও অত্যন্ত গর্বিত। সম্মানিত সদস্যগণ আরও বলেন যে, এ সেতু শুধু সেতু নয়, শুধু ইট-সিমেন্ট-কংক্রিটের কাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। এটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসিকতা, সহনশীলতা, দৃঢ় প্রত্যয় ও কঠিন মনোবলের মাধ্যমে। সিন্ডিকেট সদস্যগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ সেতু যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। এ সেতু দেশের জিডিপি বাড়াবে এবং দারিদ্র্য কমাবে যা দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা সমগ্র বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আজ গর্বিত, বাঙ্গালী জাতি ১৯৭১ এর মতো আবারো বলতে পারবে ‘আমরাও পারি’।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাপূর্বক আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।