জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা গত ২২ আগস্ট ২০২২ সোমবার বিকেল ৩.২০টায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম মেহের আফরোজ চুমকী এমপি ও কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বেগম শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক। ভার্চুয়াল সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ও সদস্য-সচিব, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদযাপন কমিটি, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ঘটনাবহুল জীবন ও সংগ্রামের উপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্ত্বা, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু’র নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতি আজ কলঙ্কমূক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকী বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় মাপের বিশ্বনেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধু’র শাহাদাতের খবরে বিশ্বনেতৃবৃন্দের মন্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়। তিনি আরো বলেন, নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম খুবই ভাগ্যবান গত বছর ২০২১ এ বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী একই সাথে সগৌরবে উদযাপন করেছেন। বিশ্বে অনেক নেতার নাম আলোচিত হলেও বঙ্গবন্ধু সবাইকে ছাপিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। মাননীয় সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু’র জন্ম, শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু সুদুর প্রসারী ও ভিশনারী নেতা ছিলেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি এবং আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া অতিথিবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু’র নিরলস সংগ্রাম ও আপোষহীন নেতৃত্বের জন্যই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নয়নশীল দেশের মার্যাদা পাবে এবং ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংযুক্ত ছিলেন।