অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার, ২০২২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদ দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, র‌্যালী, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও বিশেষ দোয়া। অমর একুশের সত্তর বছরে ভাষা শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, আবাসিক হলসমূহ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। তিনি বায়ান্ন’র ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আজকের এই শহীদ দিবস একদিকে যেমন শোকের দিন অন্য দিকে আমাদের গৌরবের দিনও বটে। একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য তার ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং সর্বস্তরের মাতৃভাষার প্রচলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে বিজ্ঞান গবেষণাসহ রাষ্ট্রের সকল স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তান সামরিক সরকার পূর্ব বাংলাকে শাসন ও শোষণের নীল নক্সা বাস্তবায়নে বাঙলা ভাষার উপর বারবার আঘাত হেনে বাঙালীর প্রতিবাদী কন্ঠকে রোধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আরো বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ দিবসের সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।