বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

 

 

 

 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি প্রিয় স্বদেশ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।  ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। আজ ১০ জানুয়ারি’২২ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়, র‌্যালী শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু’র মুক্তি ও দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে সারাদেশেই গভীর উৎকন্ঠা বিরাজ করছিল, বিজয়ের এ মহানন্দ অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে সগৌরবে ফেরার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের স্বাদ পেয়েছিল এবং মহানায়কের আগমনে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় সেদিন। বঙ্গবন্ধু তাঁর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা’ আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন ঢাকার রাস্তায় আনন্দাশ্রুতে উদ্বেলিত হতে থাকে লাখ লাখ জনতা, মুক্তিপাগল দেশের মানুষ ফিরে পায় তাঁদের জাতির পিতা। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মার চিরশান্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।