বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৯তম শুভ জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ আজ। এবারের শেখ রাসেল দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভিক’। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ঢাকার ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নং বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারে কনিষ্ঠ সন্তান রাসেল। শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনন্দ র‌্যালী, শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা। সকালে একটি আনন্দ র‌্যালী ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করা হয়। শ্রদ্ধার্ঘ শেষে পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শৈশব থেকেই দূরন্ত, প্রাণবন্ত শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি আদরের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু খুনি ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেল। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনির্ভাসিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজ তিনি ৫৯ বছরের একজন পরিপূর্ণ মানবিক মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দিতেন নিঃসন্দেহে। বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার শিশু রাসেলের শৈশব কালের স্মৃতিচারণ করে শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের, ডীনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।