Blog

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

               

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে আজ ১৭ মার্চ স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে প্রশাসন চত্বর থেকে ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বিভিন্ন আবাসিক হল, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের এই শুভ দিনে ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টঙ্গীপাড়ায় বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা শেখ সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে খোকা নামে যে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল – তিনিই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ১০২তম জন্মদিনে এ মহান নেতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তিনি ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ১৫ আগস্টসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত গর্বিত এই জন্য যে বঙ্গবন্ধু’র মতো একজন ভিশনারি মহান নেতা যিনি বাঙালী জাতিকে ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ নামে ভূখন্ড উপহার দিয়েছেন। বিশ্বের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি বাঙালীকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, যাঁর ভাষণ বিশ্বঐতিহ্যের দলিল, যাঁর জয়বাংলা শ্লোগান আজ জাতীয় শ্লোগান এবং যাঁর জন্মদিন শতবছর পরেও সগৌরবে সারা জাতি উদ্যাপন করছে। বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশ এগিয়ে যাবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ। দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল: বঙ্গবন্ধু’র জীবনীর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন, বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। জন্মদিনের অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।