সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এর মৃত্যুতে উপাচার্যের মহোদয়ের শোক প্রকাশ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি, আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি ১৪ এপ্রিল ২০২১ ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জনাব এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। জনাব খসরু ১৯৯৬-২০০১ সময়ে বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সময় কুখ্যাত কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরু ১৯৯৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার কুমিল্লা-৫ থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জনাব খসরুর মৃত্যুতে বশেমুরকৃবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং বরেণ্য রাজনীতিবিদকে হারালো। তাঁর শূন্যতা কোনদিন পূরণ হবার নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সংসদীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদানের কথা জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
অন্য এক শোকবার্তায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এর মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে। বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ, স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে দেশ সংস্কৃতি জগতের একজন অভিভাবককে হারালো। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।