Blog

বশেমুরকৃবি’র শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দের ডি নথি সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে কার্যাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে ডিজিটাল নথির আওতায় আনতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) ৩ দিনব্যাপী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মাঝে ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের সমাপনী দিবস আজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মান নিশ্চিতকরণ সেল (আইকিউএসি) কর্তৃক আয়োজিত (১১-১৩ নভেম্বর পর্যন্ত) চলমান এ কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি আবহবিদ্যা কম্পিউটার ল্যাবে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১১ নভেম্বর সকাল ১০ টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন বশেমুরকৃবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. জি.কে.এম. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আবদুল্লাহ মৃধা। আইকিউএসসি পরিচালক প্রফেসর ড. নাসরিন আক্তার আইভির সভাপতিত্বে এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হানের সঞ্চালনায় দুইজন প্রশিক্ষকের সমন্বয়ে ৫০ জন শিক্ষক এবং ২৫ জন কর্মকর্তাকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রথমদিন ২৫ জন বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকবৃন্দ, ২য় দিন ২৫ জন সহযোগী অধ্যাপক এবং আজ তৃতীয় দিনে ২৫ জন কর্মকর্তাকে ক্রমান্বয়ে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ডি-নথি আমাদের সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার নিশ্চিত করলে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক যেকোন পর্যায়ে স্বচ্ছতার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে বহুগুণে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বশেমুরকৃবি ২০২৫ এর টাইমস হায়ার র‌্যাঙ্কিং (টিএইচই) এ বাংলাদেশে ১ নং স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি বলেন, ধারাবাহিক এ সাফল্য ধরে রেখে ক্রমশ আরো সমৃদ্ধির জন্য ডি-নথির ব্যবহার অনস্বীকার্য। তবে প্রশিক্ষণকে কেবল প্রশিক্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকর করে তোলার প্রতি দৃঢ় আহবান জানান এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং এ স্থান পাওয়া এ গবেষক ও বিজ্ঞানী। উল্লেখ্য, ডি-নথি সিস্টেম হলো একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশের সরকারী দপ্তরগুলোর মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রম, অনুমোদন এবং যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সহজতর করতে ব্যবহৃত হয়। এ সিস্টেমের মাধ্যমে কাগজপত্রের ব্যবহার কমানো, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে দক্ষতা আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হয়।