Blog

বশেমুরকৃবি ডিবেটিং সোসাইটির বিদায় ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি: বিদায় ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের স্মৃতিময় আয়োজন। “বাধা-বন্ধন-ভয় হারা হও, সত্য-মুক্তি-মন্ত্র গাও” প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (বশেমুরকৃবিডিসো) এগিয়ে চলছে সফলতার নতুন অধ্যায়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় আয়োজিত হয় এক অনন্য বিদায় সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান, যা ছিল আবেগঘন ও উদ্দীপনায় ভরপুর। বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ মশিউল ইসলাম, পরিচালক (গবেষণা), বশেমুরকৃবি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল আলম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), বশেমুরকৃবি। ড. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ তার নির্দেশনামূলক বক্তব্যে বলেন, “বিতর্ক একইসঙ্গে বিজ্ঞান এবং একটি অনন্য শিল্প, যা যুক্তির গভীরতার সঙ্গে চিন্তা করতে শেখায়। এটি কেবল মতবিনিময়ের মাধ্যম নয়, বরং সহনশীলতা ও সহমর্মিতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। তরুণ বিতার্কিকদের এসব গুণ আত্মস্থ করতে হবে, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে ডিবেটিং সোসাইটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” অতিথিদের বক্তব্যের পর বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটিকে সম্মান জানানো হয়। সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুব হাসান রিফাত, সাধারণ সম্পাদক যয়নব তাযকিয়া, এবং যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকারসহ সম্পূর্ণ কমিটিকে তাদের এক বছরের নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের জন্য বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। তাদের অবদান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক চর্চাকে শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে। অতঃপর, নবনিযুক্ত কার্যকরী কমিটির সদস্যরা দায়িত্বভার গ্রহণ করে ডিবেটিং সোসাইটিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যা উপস্থিত সকলের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করে। অনুষ্ঠানে নবীনবরণ পর্বে নবাগত বিতার্কিকদের সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়। ক্লাবের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তাদের হাত ধরেই বিকশিত হবে, এই বিশ্বাস ব্যক্ত করেন উপস্থিত অতিথিরা। নবীন বিতার্কিকরা তাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিভা ও আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানটির শেষাংশে নবনিযুক্ত কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া বক্তব্য প্রদান করেন। তারা ক্লাবের আগামী পরিকল্পনা তুলে ধরে সকল সদস্যকে বিতর্কে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তব্যে তাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্য উন্মোচিত হয়, যা ক্লাবকে আরও উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই মাধ্যমে শেষ হয় চমৎকার একটি সন্ধ্যার, সমাপ্তি ঘটে নবীন ও প্রবীণদের আন্তরিকতা ও উচ্ছ্বাসে সংমিশ্রিত এক মিলনমেলার।