বর্ণিল নানা আয়োজনে বশেমুরকৃবির ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। ১৯৯৮ সালের এ দিনে বশেমুরকৃবি ইপসা (ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচাল) থেকে দেশের ১৩তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। আজ ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৯টায় জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনপূর্বক জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ দিবসের নানা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বশেমুরকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বেলুন ও কবুতর উড়ানোর মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি শান্তির বার্তা পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রশাসনিক ভবন চত্বর থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমবেত অংশগ্রহণে একটি আনন্দ র্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিভ্রমণ করে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে শেষ হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবন চত্বরে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল আলম, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) এর সঞ্চালনায় এবং প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রসুল, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এর সভাপতিত্বে এ আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অনুষদীয় ডিনবৃন্দ এবং রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, সকলের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতিতে আজকের এ আনন্দ র্যালি সার্থক হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলার ২৭ বছরের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি হলো ‘দ্যা টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) র্যাঙ্কিংয়ে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন। ধারাবাহিক সাফল্য অব্যাহত রেখে বৈষম্যহীনভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০ এর তালিকায় আনতে প্রত্যেকের সহযোগিতা কামনা করেন এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাঙ্কিং এ ৫ জনের মধ্যে স্থান পাওয়া এ গবেষক ও বিজ্ঞানী । উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জুম্মা বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং দুইদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রধান প্রধান স্থাপনায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।